ফ্রান্সে ভিপি নূরের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, হাতাহাতি

প্যারিস, ফ্রান্স: ফ্রান্সে একটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। জানা গেছে, আলোচনায় অংশ নেওয়া এক বিএনপি নেতা বাংলাদেশের দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানোর পর এই বিশৃঙ্খলার সূচনা হয়। ঘটনার বিস্তারিত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত এই সভায় বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের নেতা ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তবে, বিএনপির এক নেতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন এবং দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত কিছু অংশগ্রহণকারী এর বিরোধিতা করেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়, যা একপর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে গড়ায়। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, “প্রথমে বিষয়টি শুধুমাত্র কথার লড়াইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে কিছু সমর্থক উত্তেজিত হয়ে একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।” উপস্থিত নেতাদের ভূমিকা ঘটনার একপর্যায়ে ভিপি নূর নিজেই পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং উপস্থিত সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। পরে আয়োজকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সভাটি পুনরায় শুরু করা সম্ভব হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতিক্রিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকে এই বিশৃঙ্খলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে, প্রবাসে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, তবে তা এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্ম দেওয়া উচিত নয়। একজন দর্শক বলেন, "আমরা বিদেশে বসবাস করলেও দেশের রাজনীতির প্রতি আমাদের মনোযোগ রয়েছে। তবে আমাদের উচিত শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করা, না যে কোনো উত্তেজনার মাধ্যমে।" পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেয়নি, তবে আয়োজক কমিটি ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। উপসংহার ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা প্রায়শই হয়, তবে এই ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরল। বিশ্লেষকদের মতে, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যেও প্রভাব ফেলছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় উত্তেজনার কারণ হতে পারে। এই ঘটনার পর আয়োজকরা ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার এবং আলোচনার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।